কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2021, 03:22 AM
Updated : 30 Nov 2021, 03:23 AM

মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে শহরের সংরাইশ এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে বলে কোতয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল আজিমের ভাষ্য।

নিহতরা হলেন, সুজানগর এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮) এবং সংরাইশ এলাকার কাকন মিয়ার ছেলে সাজন (৩২)।

সোহেল ও হরিপদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের নাম ছিল যথাক্রমে ৩ ও ৫ নম্বরে।

ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, ওই মামলার কয়েকজন আসামি সংরাইশ ও নবগ্রাম এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল অভিযানে যায়।

“তারা গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের কাছে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। পুলিশ সদস্যরাও নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়।তখন ঘটনাস্থলে দুইজন ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।”

গুলিবিদ্ধ দুজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি।

গোয়েন্দা পুলিশের এসআই পরিমল দাস বলছেন, এ অভিযানে পুলিশের তিনজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপ গান, পিস্তলের অব্যবহৃত গুলি উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।

ওসি আনোয়ারুল আজিম জানান, এ ঘটনায় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। নিহতদের লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।  

গত ২২ নভেম্বর বিকালে কুমিল্লা শহরের পাথুরিয়াপাড়ায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের সিমেন্টের দোকান থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। সেখানে থাকা সোহেল এবং তার সহযোগী ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি হরিপদ সাহাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। খুনিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন আরও চারজন।

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।

পরদিন সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১১ জনের নাম উল্লেখ করে সেখানে অজ্ঞাতনামা আরও ১০জনকে আসামি করা হয়।

তবে বাদী রুমন সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “মাদকবিরোধী অবস্থান নেওয়ায় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।  এজাহারে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।”