সোমবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া এই ভিডিওতে প্রকৌশলী আবদুল আহাদের ক্ষমা চাইতে দেখা যায়।
এই সময় তার পাশে ছিলেন ওইদিন তার [আহাদ] হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সহকর্মী উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রনি।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, রনির সঙ্গে পাশাপাশি বসে আছেন আবদুল আহাদ।
এ সময় বরখাস্ত নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ বলেন, “গত ২৪ তারিখ আমাদের অফিসে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আসলে আমাদের অফিসে যে লোক, যে কাজের প্রেসারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ওই মুহূর্তে টেম্পার ঠিক রাখতে পারি নাই। যে কারণেই হউক আমরা একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করি। যে দশ সেকেন্ডে ভিডিওতে যা দেখা গেছে আমরা আসলে ওই শ্রেণির মানুষ না। আমরাদের মাঝে ছোট ভাই বড় ভাই সম্পর্ক। আর এই সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে আমাদের মনে রাখার সময় নাই। আমাদের অনেক কাজ। আর যেটা ঘটে গেছে সেটার জন্য আমরা অনুতপ্ত, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, “এই জিনিসগুলো পেপারে যাওয়ার মত জিনিস না, এই জিনিসগুলো টেলিভিশনে যাওয়ার মত বিষয় না, এই জিনিসগুলো ফেইসবুকে যাওয়ার মত বিষয় না, এই জিনিসগুলো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যাওয়ার মত বিষয় না। এইগুলো ভাইরাল করা ঠিক হয় নাই।”
লাঞ্ছিত হওয়া রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রনি বলেন, “আমাদের কাজ করতে গেলে অনেক সমস্যা হয়। আমারও ভুল হতে পারে; স্যারেও ভুল হতে পারে। আমার ভুল হলে ক্ষমা করবেন স্যার। আমার মনে হয় সব ভুলে একসাথে আবার কাজ করা উচিৎ।”
গত ২৪ নভেম্বর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রনিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আব্দুল আহাদের কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মো. রনি নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদের কক্ষে প্রবেশ করে চেয়ারে বসেন। এ সময় দুজনকে কথা কাটাকাটি করতে দেখা যায়। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ চেয়ার থেকে উঠে রনিকে চেয়ার থেকে ফেলে বুকের ওপর চেপে বসেন এবং গালাগাল করতে থাকেন। পরে পাশে থাকা একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে সরিয়ে নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় ওইদিন রনি প্রধান প্রকৌশলী বরাবর একটি অভিযোগ দেন। পরে এ ঘটনায় রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।