নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার ওই হত্যাকাণ্ডের ১৬তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এই উপলক্ষে গাজীপুর আদালতের আইনজীবীরা কালো ব্যাজ ধারণ, শোক শোভাযাত্রা, নিহত আইজীবীদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনজুর মোর্শেদ প্রিন্স জানান, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির আত্মঘাতি বোমা হামলায় গাজীপুর আদালতের চার আইনজীবী, চার বিচারপ্রার্থী ও হামলাকারী জঙ্গি নিহত হন। আরও অর্ধশতাধিক আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী আহত হন। এর দুদিন পর আরেকটি বোমা হামলা হয়, যেখানে এক কৃষি কর্মকর্তা মারা যান।
দিবসটি পাল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে সোমবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা ও শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিন সমিতির সকল আইনজীবী কালোব্যাজ ধারণ করেন। পরে একটি শোভাযাত্রায় তারা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
দুপুরে সমিতি চত্বরে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আইনজীবী সমিতির চত্বরে সমিতির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন মো. আলাউদ্দিন হোসেন, মো. নুরুল আমিন, মো. সুলতান উদ্দিন, আব্দুস সোবহান, মো. খালিদ হোসেন, সুদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
বক্তারা জেএমবির বোমা হামলায় সহকর্মীসহ সকল নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলোর দ্রুত রায় দাবি করেন।
এই ঘটনার পর গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও র্যাব জেএমবির সদস্যদের গ্রেনেড, গ্রেনেড তৈরির উপকরণ, জেহাদি বই ইত্যাদি উদ্ধার ঘটনায় ২১টি মামলা দায়ের করে।
ওইদিন বোমা হামলায় নিহত আইনজীবীরা হলেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল আজিম, নুরুল হুদা, গোলাম ফারুক অভি ও আব্দুল্লাহ আল মামুন মাখন।
নিহত বিচারপ্রার্থীরা হলেন আব্দুর রউফ, বশির মেম্বার, শামসুল হক ও মর্জিনা বেগম।
আত্মঘাতি জঙ্গির নাম শরিয়ত উল্লাহ ওরফে আসাদুল ইসলাম।
হামলার দুই দিন পর ১ ডিসেম্বর দুপুরে আবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে জেএমবি বোমা হামলা চালায়। এতে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকার নিহত এবং সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, নজরুল ইসলাম বাদামীসহ ২৫ জন আহত হন।