রোববার রাতে রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের দাইরের পার এবং সন্ধ্যার আগে উত্তর বাখরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই দুটি ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে সিএনজি চালিত অটোরিনকশা চালক আরিফ (২৪) এবং উত্তর বাখরনগরে ফরিদ মিয়া (৩০)।
নিহত আরিফ শিবপুর যোশর জাঙ্গারটেক গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে।
রোববার সহিংসতার মধ্য দিয়ে নরসিংদী সদর ও রায়পুরা উপজেলার ২২ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয়েছে।
রায়পুরা থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের দাইরের পার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পর পরাজিত এক সদস্য প্রার্থীর অর্ধশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়।
ওই সময় নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সরকারি মালামাল ও ব্যালট বাক্স রক্ষায় ১৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায় বলে তিনি জানান।
ওসি আজিজুর রহমান বলেন, এ সময় ধওয়া পাল্টা ধাওয়া ও এলোপাথাড়ি গুলিতে পুলিশের রিকুইজিশন করা অটোরিকশার ড্রাইভার আরিফ নিহত হন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, “হট্টগোলের খবর পেয়েছি। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”
মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফরিদ মিয়া
উপজেলার উত্তর বাখরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ফরিদ মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
নিহত ফরিদের স্ত্রী আসমা বেগম বলেন, রোববার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষ শুরু হয়। সে সময় পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় ফরিদের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
ওই সংঘর্ষের সময় ফরিদের শ্যালক শাহ আলমও আহত হন বলে আসমা জানান।
শাহ আলম বলেন, পুলিশের গুলি ফরিদের মাথায় লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে রাত সোয়া ৯টার দিকে ফরিদের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ফরিদের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।