এছাড়া ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভোট শুরুর পর কেন্দ্রের আশেপাশে গোলোযোগ সৃষ্টির অভিযোগে চার সদস্য প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধুগ্রাম কেন্দ্রে ‘গোপন কক্ষে প্রবেশ করে’ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় পোলিং কর্মকর্তা নাসিমা বেগমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান জানিয়েছেন।
এছাড়া ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর মন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সকালে ভোট শুরুর পর ৮টার দিকে গোলোযোগ বাঁধে বলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম জানান।
এছাড়া ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম উপজেলার আট ইউনিয়নে ভোট শুরুর পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের বাইরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
উত্তর মন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, “সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরুর পর থেকে কেন্দ্রের আশপাশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফারণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা।
“এ সময় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বি চার মেম্বার প্রার্থী কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের উপর ‘প্রভাব বিস্তার’ করায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।”
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, উত্তর মন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আশেপাশে ‘গোলোযোগ সৃষ্টি’ ও ভোটারদের উপর ‘প্রভাব বিস্তারের’ অভিযোগে বেলা ১১টার দিকে চার সদস্য প্রার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এরা হলেন- শুভপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আবুল কালাম (মোরগ), শওকত জোবায়ের (আপেল), মো. সোহেল রানা (ফুটবল) ও মো. সেলিম (তালা)।
এছাড়া ভোট শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায় বিভিন্ন কেন্দ্রে ‘প্রভাব বিস্তার করায়’ আরও নয়জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মামুন।