কাটাখালীর মেয়র আব্বাসকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠার পর নানা প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলীকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ।

বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

দলের পবা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে বৃহস্পতিবার কারণ এই নোটিশ তার কাছে পাঠানো হবে।

“জবাব আশানুরূপ না হলে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে।”

এদিকে, মেয়র আব্বাস আলী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও রয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, “মেয়র আব্বাসের বিষয়ে শুক্রবার জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় তার বিরুদ্ধে দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এদিকে, বুধবার মেয়র আব্বাসের কুশপত্তলিকা পোড়ানোসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয় রাজশাহী নগরে। আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার সকালে ও বিকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতাকর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

বিকালে নগরের গণপাড়া মোড় থেকে সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন এলাকা পদক্ষিণ করে সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সমাবেশ করে। এ সময় সেখানে মেয়র আব্বাসের কুশপত্তলিকা পোড়ানো হয়।

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, “মেয়র আব্বাস আলীকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কথা বলতে শোনা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, আব্বাস আলীকে রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ কথা বলতে শোনা গেছে ওই অডিও টেপে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আব্বাস আলী দাবি করেছেন, ওই অডিও ‘এডিট করা’।

এই ঘটনায় আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।