আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে কাটাখালী পৌরসভার টানা দুইবারের মেয়র আব্বাস আলী দলের পৌর কমিটিরও আহ্বায়ক।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে কথা বলতে শোনা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আব্বাস আলীকে রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ কথা বলতে শোনা গেছে ওই অডিও টেপে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আব্বাস আলী দাবি করেছেন, ওই অডিও ‘এডিট করা’।
আব্বাস আলীকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার রাজশাহী নগরী এবং কাটাখালী পৌরসভায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন দলটির নেতাকর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আওয়ামী লীগ সভা করে কাটাখালী বাজারে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেন নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেলা ১১টার দিকে কাটাখালী বাজারে জড়ো হয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।
অপরদিকে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আব্দুল মান্নান।
এই সমাবেশে মেয়র আব্বাস আলীকে দল থেকে বহিষ্কারসহ তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রমানিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান প্রমুখ।
এই অডিও কথপোকথনের ঘটনায় মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।