ফেনীতে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা, ভাসুরের যাবজ্জীবন

ফেনীর সোনাগাজীতে জমিজমার বিরোধে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে তার ভাসুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া দুই ভাসুরপুত্রের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয়েছে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2021, 01:01 PM
Updated : 24 Nov 2021, 01:01 PM

বুধবার ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ ১৬ বছর আগের এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ড হয়েছে সোনাগাজী উপজেলার চর খোয়াজ গ্রামের কামাল উদ্দিনের (৭৬)।

একই মামলায় তার দুই ছেলে জয়নাল আবদীন (৪৯) ও সাহাব উদ্দিনকে (৫৬) যথাক্রমে পাঁচ বছর ও দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এখানে আসামিদের বয়স বর্তমান সময়ের হিসাবে দেখানো হয়েছে।

এই আদালতের এপিপি দিজেন্দ্র কুমার কংশ বনিক জানান, যাবজ্জীবন দণ্ডিত কামাল উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে, যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

“এছাড়া জয়নাল আবদীনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস এবং সাহাব উদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর খোয়াজ গ্রামে একটি বাড়িতে পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। এ সময় কামাল উদ্দিনের লাঠির আঘাতে ছোট ভাই সফি উল্যার স্ত্রী নুরের নাহার (৩৫ ওই সময়ের বয়স) মারাত্মক আহত হন। তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

দুদিন পর এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সফি উল্যা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বড় ভাই কামাল উদ্দিন, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম, দুই ছেলে জয়নাল আবদীন ও সাহাব উদ্দিন এবং ভাইয়ের মেয়ে লাভলী আক্তারকে আসামি করেন।

সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন এসআই শওকত আলী মামলার তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৬ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

ফেনী আদালতের এপিপি দিজেন্দ্র কুমার কংশ বনিক জানান, আসামি সাহাব উদ্দিন জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক থাকায় তার গ্রেপ্তারের দিন থেকে অথবা যেদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন তখন থেকে সাজা কার্যকর হবে। অপর দণ্ডিতরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন; রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।