সপ্তম দফায় ভাসানচরের পথে ২৫৭ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে বহনকারী সাতটি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2021, 08:49 AM
Updated : 24 Nov 2021, 08:49 AM

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন।

তবে সপ্তম দফায় কতসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হবে তা বলেননি।

গত বছর ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে প্রথমবারের মত রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ১৮ হাজার ৩৩৪ জন রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে সেখানে।

এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার পর প্রথমবারের মত ২৫৭ জনের দলটি ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

গত বছর সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এক লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। গত ডিসেম্বর মাসের আগেই ভাসানচরে সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।

সামছু-দৌজা বলেন, বুধবার সকালে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে সপ্তম দফায় প্রথম দিনের প্রথম ধাপে রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসের একটি বহর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তারা চট্টগ্রাম পৌঁছানোর পর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের জন্য একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের  নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে। যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করবে তাদের ভাসানরে নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করা হবে। তাই ঠিক কতজনকে এই দফায় নেওয়া হবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সামছু-দৌজা জানান, চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হওয়া রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর আগে ও পেছনে পুলিশের কড়া পাহারা রয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বহনকারী কয়েকটি গাড়িও সঙ্গে রওনা দিয়েছে।

মঙ্গলবার রাত থেকে বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা শুরু হয়। এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।