অডিও ভাইরাল: কাটাখালীর মেয়রকে অপসারণের দাবিতে কর্মসূচি

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক অডিও টেপের সূত্র ধরে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আব্বাস আলীকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2021, 04:39 PM
Updated : 23 Nov 2021, 06:37 PM

তাদের অভিযোগ, আব্বাস আলীকে রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোর ‘বিরোধিতা করে’ কথা বলতে শোনা গেছে ওই অডিও টেপে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আব্বাস আলী দাবি করেছেন, ওই অডিও ‘এডিট করা’।

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর এখন কাটাখালীর পৌর মেয়রকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে রাজশাহীতে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের ব্যানারে বুধবার বেলা সাড়ে ১০টায় কাটাখালী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং সকাল ১০টায় সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধ কমান্ডসহ পাঁচ সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা ঘোষণা করা হয়েছে।

পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল আলম রিপন বলেন, আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী সিটি গেইট

“আমাদের দাবি, দ্রুত মেয়র আব্বাস আলীকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে মেয়র পদ থেকেও তাকে অপসারণ করতে হবে।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও টেপে একজনকে বলতে শোনা যায়, সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল করার নকশা দেওয়া হয়েছে, সেটা ‘ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়’। এটা করতে দিলে তার ‘পাপ হবে’।

এক মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ওই অডিও টেপের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কাটাখালী পৌরসভার দুইবারের মেয়র আব্বাস আলী বলেন, “ম্যুরাল করা যাবে না, ম্যুরাল করলে পাপ হবে, এ ধরনের কথা আমি কখনও করাও সামনে বলিনি। মনোযোগ দিয়ে শুনলেই বুঝতে পারবেন, অডিওটি এডিট করে তৈরি করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করলে তার আওয়ামী লীগ করার অধিকার থাকে না। কাটাখালীর মেয়র বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যদি কোনো কটূক্তি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আর মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে যে বক্তব্য মেয়র আব্বাস আলী দিয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। এটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। তিনি দলীয় এবং মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

“দল থেকে বহিষ্কার ও মেয়র পদ থেকে অপসারণ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।”