র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম জানান, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং এলাকা ও কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন-আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা এলাকার মৃত মনছুর আলম ওরফে রসু ডাকাতের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে মামুন (২৮) ও তার সহযোগী একই ইউনিয়নের চিকনী পাড়ার মনিরুল আলমের ছেলে মো. রিফাত (২৩) এবং মোহাম্মদ শাহঘোনা এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে আইয়ুব আলী (৪০)।
পরদিন নিহতের ভাই সুমন উদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন।
কর্নেল খাইরুল বলেন, “আলাউদ্দিন হত্যা মামলা পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যায় গোপন তথ্যে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“পরে তাদের দেওয়া তথ্যে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে মামলাটির এজাহারভূক্ত ১২ নম্বর আসামি আইয়ুবকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর তিন আসামি র্যাবকে জানায় যে, আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় আলকাসের মালিকানাধীন বাগানে পরিত্যক্ত দোচালা টিনের ঘরের পেছনে ঝোপের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
“পরে মঙ্গলবার ভোরে সেখানে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে ১ টি বিদেশি পিস্তল, ৮ দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১ টি পিস্তলের ম্যাগাজিন ও ৭ টি গুলি উদ্ধার করা করে। ”
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মহেশখালী থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।