‘হামলার ভয়ে তার এসএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে’ এবং ফোনে জানানো হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ।
সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের সিন্দুরী বরুনিয়া গ্রামের আব্দুল মাজেদ শেখ।
মাজেদ শেখ বলেন, রোববার রতনগঞ্জ হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায় চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরীর লোকজন।
“চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের মালঞ্চী মাঠে নিয়ে তাকে বেদম মারপিট করা হয়। হামলার ভয়ে ছেলেকে হাসপাতালে নিতে পারছি না। ছেলের পরবর্তী পরীক্ষাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
এই কিশোর সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব শেখের ভাগনে।
তৈয়ব শেখ বলেন, তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তার স্বজন ও কর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্যাতন করে আসছেন চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী।
“নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর শাহীন চৌধুরী আরও নির্মম ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনে আমার সমর্থক হওয়ায় কিছুদিন আগে এক ভ্যান চালককে মারধর করে শাহিন চৌধুরীর লোকজন। সবচেয়ে দুঃখজনক আমার নিষ্পাপ ভাগ্নেকেও তারা রেহাই দেয়নি। সে বর্তমানে বাড়িতে শয্যাশায়ী। পরীক্ষাও আর দিতে পারবে না। আমরা বাড়িতে অবরুদ্ধ। কেউই বের হতে পারছি না। হাসপাতালে নেব কিংবা থানায় জানাব সে সুযোগও নেই। ফোনে জানালেও কাজ করছে না পুলিশ।”
চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “পুরো ব্যাপারটি ভিত্তিহীন। কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য আমি পুরোপুরি ওয়াকিবহাল আছি।”
আর পুলিশ বিষয়টি জানে না বলে দাবি করেছে।
আমিনপুর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, “এখনও কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”