দগ্ধ কিশোরী রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর এলাকায় তার বাড়ি।
নাটোর থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, রোববার সন্ধ্যায় নাটোর শহরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল কিশোরী। পথে লালমনিপুর বাজারের কাছে কয়েকজন তার মুখে এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে। তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়।
সোমবার ভোরে তাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা (ইএমও) আবদুল কাদির কিশোরীর অবস্থা সম্পর্কে বলেন, “কিশোরীর পুরো মুখ ঝলসে গেছে। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।”
এসিড নিক্ষেপকারীদের নাম পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বলে কিশোরীর বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
তবে এসিড নিক্ষেপকারীদের সঙ্গে কী নিয়ে দ্বন্দ্ব সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এসিড নিক্ষেপকারীদের ধরতে পুলিশের চারটি দল মাঠে আছে। তারা যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।