শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘শৃঙ্খল পরিপন্থী’ কার্যকলাপের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া ছাত্রলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে কেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে না তার উপযুক্ত কারণসহ লিখিত জবাব আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ বলা হয়েছে।
গত ১১ অক্টোবর রাতে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের সামনে শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, “ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার চলছিল। আশা করি আমরা এই দুঃসময় অতিক্রম করবো এবং সত্যের জয় নিয়ে দায়িত্ব ফিরে পাব।”