বৃহস্পতিবার রাতে আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে বলে জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান।
আটকরা হলেন-আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থী শক্তি চন্দ্র পাল (৪২) ও তার সমর্থক সনাতন চন্দ্র পাল (৩২)।
আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায় জানান, সকালে আলোয়াখোয়া গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মোবাইলে ফোন করে প্রতিমা ভাঙচুরের খবর দেয়।
“পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বহুবাধ এলাকার কালী মন্দির, ঠাকুরপাড়া কালী মন্দির ও দোমুর্কী কারী মন্দিরে দশটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে।
হামলাকারীরা তিনটি মন্দিরের দশটি কালি প্রতিমার মাথাসহ বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করেছে।”
তিনি বলেন, আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে শক্তি চন্দ্র পাল (বর্তমান সদস্য) ও শাহাজান আলী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
“হিন্দু সম্প্রদায় অধুষ্যিত এই এলাকায় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা সৃষ্টি অথবা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট ও সমর্থন আদায়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে।”
আলোয়া খোয়া এলাকার বিপ্লব চন্দ্র বলেন, “শুনেছি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় আমাদের সম্প্রদায়ের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। ভোটের জন্য এই অপকর্ম করা হলে এতে আমাদেরই মান সম্মান নষ্ট করা হয়েছে।”
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটানো হয়েছে দাবি করে পঞ্চগড় জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায় এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, চলমান ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, রাতের কোন এক সময় দুস্কৃতিকারীরা প্রতিমা ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।