গোপালগঞ্জে ‘কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল’, আ. লীগ প্রার্থীর নামে মামলা

গোপালগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল নৌকায় সিল, ভোট কর্মকর্তা ও পুলিশের  ওপর হামলার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ অজ্ঞাত ২২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2021, 09:01 AM
Updated : 18 Nov 2021, 09:23 AM

জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম সরদার কাশিয়ানী থানায় বৃহস্পতিবার এই মামলা করেন বলে থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান জানান।

রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন বিএম হারুন অর রশিদ পিনু।

মামলায় আসামিদের মধ্যে শুধু তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সেলিম অভিযোগ করেন, গত ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বিএম হারুন অর রশিদ পিনুর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২২৫ জন লোক লাঠিসোটাসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে রাতইল ইউনিয়ন পরিষদ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। তারা অন্য প্রার্থীদের এজেন্টদের গালাগাল করে বুথ থেকে বের করে দেন। বিষয়টি মোবাইল ফোনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্টদের অবগত করেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম সরদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিনু ও তার লোকজন পিজাইডিং কর্মকর্তাকে মারধর করেন। পরে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নাজমা নাঈমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ব্যালট পেপারে স্বাক্ষর করিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্সে ঢোকাতে থাকেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত নূরুল আমিন, হেলাল ও সোলাইমান নামে তিন পুলিশ সদস্য এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর করে আহত করা হয়। পরে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। এরপর ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

মামলায় সুষ্ঠু নির্বাচন কার্যক্রম ব্যাহত ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ আনা হয় বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মাসুদ রায়হান।

তিনি বলেন, মামলায় পিনুর নাম উল্লেখসহ ২২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়জুল মোল্লা জানান, ওই ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রের মধ্যে আটটি কেন্দ্রে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনজুরুল হক আন্জু পেয়েছেন ছয় হাজার ১৯৮ ভোট। আর আওয়ামী লীগের বিএম হারুন অর রশিদ পিনু পেয়েছেন  দুই হাজার ৭৪৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী তিন হাজার ৪৫০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। স্থগিত কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৭৬২।

পরে স্থগিত কেন্দ্রে পরে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়জুল মোল্লা।