শহরের নাগড়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয় বলে সদর থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান।
তারা হলেন ওষুধ প্রশাসন দপ্তরে অফিস সহাকারী কাইয়ুম সরদার (৩২) ও তার দুই বছরের ছেলে শাকিল।
কাইয়ুমের স্ত্রী সালমা আক্তার (২০) পুলিশকে বলেছেন, ‘সকালে ঘুম ভেঙে’ তিনি ঘরের ভেতর স্বামীর ঝুলন্ত লাশ দেখেন, আর ছেলের লাশ পরে ছিল পাশে।
কাইয়ুমের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার গোপালের খাঁ গ্রামে। নেত্রকোণা শহরের নাগড়া এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ির চতুর্থতলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ওসি শাকের বলেন, “রাতে খাওয়াদাওয়ার পর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন কাইয়ুম। সালমা বলেছেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে রশি কেটে দেন। পাশেই ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।”
সালমাকে তাদের ঘরেই ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে ওসি বলেন, “ছেলেকে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পারিবারিক কলহ থেকে এটা ঘটে থাকতে পারে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।