জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর বাজারে পাঁচবিবি-ঘোড়াঘাট সড়কে বুধবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের আব্দুল ওহাব বলেন, তার স্ত্রী আসলেমা বেগম খুশি এলাকায় ‘বেশ জনপ্রিয়’। তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে সদস্য পদে খুশির পক্ষে গণসংযোগসহ প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।
ওহাবের অভিযোগ, এ কারণে গত ৯ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে এলাকার মোনাজ্জলসহ কয়েকজন প্রভাবশালী বাড়ি ঢুকে লোহার রড, হাঁসুয়া ও কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন খুশিসহ তার পবিরারের তিন সদস্যকে। স্থানীয়রা তাদের জয়পুরহাট হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক রাশেদ মোবারক জানান, “খুশি সবচেয়ে বেশি আহত হন। তাকে মঙ্গলবারে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে তার।”
এ ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি বলে খুশির স্বামী আব্দুল ওহাবের অভিযোগ।
তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশচন্দ্র দেব বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ ব্যাপারে মামলার জন্য তারা থানায় আসেনি।
পরে তারা আদালতে মামলা করেন বলে জানান খুশির স্বামী আব্দুল ওহাব।
হামলার বিষয়ে মোনাজ্জল মিয়া বলেন, “শুধু কি একপক্ষের দোষ? মাঠে খেলা হলে তো দুই পক্ষ লাগে।”
আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে জয়পুরহাটে ভোট হবে চতুর্থ ধাপে। সেই তফসিল এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।