পাশাপাশি ওই কেন্দ্র সুপারকে (আহবায়ক) কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুচ জানান।
সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা বিষয়ের (বিষয় কোড-১৫৩) পরীক্ষায় প্রথমে ভুল কোডের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়; পরে পরীক্ষার শেষ সময়ে তাদের আবার নির্ধারিত সেট কোডের প্রশ্ন দিয়ে আবার পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষায় সেট কোড ভুল করে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব আব্দুল জলিলকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন্দ্রের আহবায়ক প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেককে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
পরীক্ষার্থীদের ফলাফলের প্রভাব পড়লে তার দায়িত্ব কে নেবেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ফলাফলে কোনো সমস্যা হবে না। একই বিষয়ের দুইবার পরীক্ষা দেওয়া পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র চিহ্নিত করে মূল্যায়ন করা হবে যাতে ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভুল কোডে প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করায় সোমবার রাতে কেন্দ্র সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং রাতেই তাকে ওই কেন্দ্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট হল সুপার (আহবায়ক) আমড়াগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেককে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যুতে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। সকাল ১০টায় বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়। ওই কেন্দ্রে সেট কোড-০৩ এর প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ভুলে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয় সেটকোড-০১ এর প্রশ্নপত্র।
পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে ভুলটি ধরা পড়লে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভুল প্রশ্নপত্র এবং খাতা তুলে নিয়ে পুনরায় নির্ধারিত (সেটকোড-০৩) কোডের প্রশ্ন সরবরাহ করে সময় বাড়িয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানায়, উপজেলায় ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় সর্বমোট ২ হাজার ২১২ জন, মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষায় ৫১৮ জন এবং ভোকেশনাল থেকে ২২৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে কাঁঠালতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৬২৯ জন এবং সুবিদখালী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৮৪১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।