সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনতলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হোস্টেলের সহকারী সুপার মো. সামিম আহম্মেদ বলেন, সম্প্রতি ড্রেজার দিয়ে কলেজের মাঠে বালি ভরাট করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বালির সঙ্গে আসা পানি ঢুকে মাটি সরে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, আট থেকে দশ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কয়েকজন রাতেই হোস্টেলে ফেরেন। তিনজন ফেরেন সকালে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভবনের নিচতলার ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রাবাসের আসন বণ্টন নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্র বারান্দায় বের হলে হঠাৎ পাকা মেঝে দেবে যায়। প্রায় পাঁচ ফুট গভীর খাদ সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী খাদে পড়ে যান।
চিৎকার শুনে অন্য শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। বর্তমানে ভবনটির শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছেন বলে তারা জানান।
পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ২০০৩ সালে ভবনটি নির্মিত হয়। ভবনের নিচে থেকে বালি সরে এ দুঘটনা ঘটে। দ্রুততার সঙ্গে জায়গাটি ভরাট করে সিসি ঢালাই দেওয়া হবে।