স্থানীয়রা জানায়, অগ্রাহয়ণ মাসে ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেয়ে ও জামাইদের উদ্দেশ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলা উপলক্ষে সব জামাইরা শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত পেয়ে থাকেন। এ কারণেই স্থানীয়দের কাছে এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত।
জেলার কালাই উপজেলার কাদিরপুর গ্রাম থেকে আসা যুবক জুয়েল বলেন, তারা মেয়ে-জামাইদের মেলা দেখতে এসেছেন। এসে দেখেন এখানে মেয়ে-জামাই ছাড়াও তাদের বাড়ির আরও অনেকে এসেছেন।
শিশুদের খেলনা, কসমেটিক্স, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ছাড়াও রকমারী স্বাদের মিঠাই- মিষ্টান্নের দোকান বসে মেলায়। এছাড়া মেয়ে-জামাই, মেয়ের জা, ননদ, শ্বশুর-শাশুড়িসহ এ গ্রামে আসা সকল অতিথিদের বিশেষ বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার।
বগুড়ার দুপচাচিয়া থেকে আসা বাঁস বেতের দোকানী ফজলুর রহমান বলেন, দুদিনের এ মেলায় বেচা-কেনা বেশ জমে ওঠে। লাভও ভালো হয়। তাই তারা প্রতি বছর এ মেলায় দোকান নিয়ে আসেন।
মেলা কমিটির সভাপতি মহসিন আলী বলেন, “আগে জামাই মেলায় নাটক, যাত্রাপালা, সার্কাসসহ নানা বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকার জন্য আয়োজন সীমিত করেছি। তারপরও আগত দর্শনার্থীরা মন ভরে এ মেলা উপভোগ করেন।”