গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, নিহত দুদা পল্লানের স্ত্রী রেহানা বেগম শনিবার রাতে মামলা করলে প্রধান আসামি নাজিউরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১১ নভেম্বর গলাচিপা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হন নাজিউর রহমান মঞ্জু। আপেল মার্কা নিয়ে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন কামাল গাজী। নিহত দুদা পল্লান পরাজিত প্রার্থী কামাল গাজীর সমর্থক ছিলেন।
ওসি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর নাজিউরের নেতৃত্বে তার সমর্থকেরা দুদা পল্লানের উপর হামলা চালায়।
আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পটুয়াখালী হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় সেখানেই মারা যান ৪৫ বছর বয়সী পল্লান।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী রেহানা বেগম শনিবার গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করেন। সেখানে বিজয়ী প্রার্থী নাজিউরসহ মোট ২৩ জনকে আসামি করা হয়।
ওসি জানান, নাজিউর ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- মো. নেছার হাওলাদার ও জাকির হাওলাদার। তাদের সবার বাড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পক্ষিয়া গ্রামে।
এ মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।