হত্যা মামলায় ইউপিডিএফ সভাপতিকে হাজিরে বিজ্ঞপ্তি

একটি হত্যা মামলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসাসহ তার সংগঠনের ২৭ নেতাকর্মীকে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2021, 01:48 PM
Updated : 10 Nov 2021, 01:48 PM

রাঙামাটি মুখ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ ফারুকের এই আদেশ বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে এই বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্মণ না করলে তাদের অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

২০১৮ সালে ২৬ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচর থানায় কালুময় চাকমা হত্যার অভিযোগে ২৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়।

নানিয়ারচর থানার ওসি সুজন হালদার বলেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কালুময় চাকমাকে নানিয়ারচরের নিজ বাসা থেকে তুলে নেয় ‘সন্ত্রাসীরা’। পরে বাথছড়ি শ্মশান থেকে কালুময় চাকমার পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়।

কালুময় চাকমা হত্যার ঘটনায় এডমিশন চাকমা বাদী হয়ে ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসামিরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়ানোর জন্য পলাতক রয়েছেন বা আত্মগোপন করেছেন; এবং তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার কোনো সম্ভাবনা। তাই এই আদেশ পত্রিকায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হল। তা না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার অনুষ্ঠিত হবে।

আসামিরা হলেন ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসা (৫৪), রঞ্জন মনি চাকমা জেনিট (৫২), সবিচ চাকমা সজল সুকর্ণ (৫৭), শান্তিদেব চাকমা সানি (৫০), সুমেট চাকমা (৪৫), উদয় শংকর চাকমা (৫২), প্রমোদ বিকাশ খীসা (৫৩), অমর জীবন চাকমা (৫৫), সর্বানন্দ চাকমা মকানন্দ (৪১), কানন কুসুম চাকমা (৪৭), রবিচন্দ্র চাকমা (৪৮), বিমল চাকমা উদয় (৫০), সুবিকাশ চাকমা (৩৭), সুজন মনি চাকমা (৩২), মধুরঞ্জন চাকমা (৪৮), অনিল চাকমা (৩০), সুপন চাকমা সুশীল জীবন (৫২), জ্যোতিলাল চাকমা (৫২), বিদ্যাময়ী ডিএম (৪০), অমর কান্তি চাকমা (৫০), কালামনি চাকমা (৩০), বৌধিসত্য চাকমা রিচার্জ (৪৪), বাবুল চাকমা (৩৫), তুষাণ চাকমা (৩০), সুশীল চাকমা (৩০), রহিম চাকমা (২৫) ও বিবিদ রতন চাকমা (২২)।

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধিতা করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে পাহাড়ের দ্বিতীয় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। প্রতিষ্ঠার পর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে বহু নেতাকর্মীর প্রাণহানি হয়েছে।