পাবনার মানিকহাটে নির্বাচনী সংঘাতে আহত ১৫

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাবনার সুজানগরে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2021, 03:04 AM
Updated : 8 Nov 2021, 03:04 AM

সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী শফিউল ইসলাম এবং আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিকের সমর্থকরা রোববার রাতে বনকোলা এলাকায় এ সংঘাতে জড়ায়।

সুজানগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইপক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

আহতদের মধ্যে বনকোলা গ্রামের মিলন খানের ছেলে মোতালেব (৩৭), আব্দুল মজিদের ছেলে সাগর (৩৫) ও আব্দুর রহমান খানের ছেলে ফজলু (৫৫) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত মোতালেবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল ইসলাম বলেন, “স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিকের কর্মীরা আমাদের একটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করে নৌকায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নৌকার কর্মী সমর্থকরা মিছিল করে বনকোলা বাজারের দিকে গেলে ওই প্রার্থীর লোকজন আমাদের উপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে।

“এ সময় মিছিলের লোকজন নিরাপদ আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের ১০ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিক বলেন, “নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা বনকোলা বাজারে এসে আমার সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি শুরু করে, আমার নির্বাচনী প্রচার অফিস ভাঙচুর করে। তারা আমার কর্মীদের কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করেছে।

“পরাজয় নিশ্চিত জেনে নৌকার প্রার্থী আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আমি কাল লিখিত আকারে নির্বাচন অফিসে ও থানায় অভিযোগ করব।” 

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন তারা।