বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই নারী ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল ইসলাম এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ওই নারীর স্বামী আমতলী উপজেলা পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে কর্মরত ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ছয় বছর আগে তাকে মাস্টাররোলে উপজেলা পরিষদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ছয় মাস আগে আমতলীতে যোগদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল ইসলাম।
যোগদানের পর থেকে তিনি ওই নারীকে নানা সময় তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করতেন ও অশালীন দিতেন; দিনে-রাতে ফোন করে বিরক্ত করতেন বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে কার্যালয়ে আসেন এই কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম। তখন ওই নারী কর্মচারী উপজেলা পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর আবদুস সালামের রুমে বসে ছিলেন। এ সময় এসিল্যান্ড সেখানে গিয়ে সালামকে তার রুম থেকে বের হতে বলেন। তখন সালাম রুম থেকে বের হয়ে যান। পরে নাজমুল ইসলাম ওই নারীর যৌন হয়রানি এবং এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
তখন ওই নারী চিৎকার দিলে পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবা নিতে আসা কয়েকজন এগিয়ে আসেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল ইসলাম বলেন, “এটা আমার বিরুদ্ধে একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমাকে ফাঁসাতে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে অনেক বড় আকারে দেখিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা।”
বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। আমতলীর ইউএনওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এখন ছুটিতে আছেন। তিনি এলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”