সুনামগঞ্জে এনএসআই সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সুনামগঞ্জে নিজের বাসার শৌচাগারে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এক সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2021, 06:16 PM
Updated : 7 Nov 2021, 06:16 PM

রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাঁধনপাড়া আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মো. ইয়াকুব আলী (২৬) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের নূরুজ্জামান ও ফারজানা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৫ মাস আগে তিনি এনএসআইয়ে যোগ দিয়েছিলেন। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন আড়াই মাস আগে। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে শুক্রবার সকালে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন।

ইয়াকুবের ছোট ভাই শাহিন আলম জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে এনএসআইয়ে চাকরি পান তার বড়ো ভাই মো. ইয়াকুব আলী। গত ১২ অগাস্ট তিনি শান্তিগঞ্জ উপজেলার আমড়িয়া গ্রামের আসমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের দুইদিন পর তিনি কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। গত বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়ে শুক্রবার সুনামগঞ্জ শহরের বাঁধনপাড়া বাসায় আসেন। তার স্ত্রীও ওইদিন বাবার বাড়ি থেকে বাসায় আসেন।

“শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালে আবার বাবার বাড়ি চলে যান স্ত্রী। আজ ভাই বাথরুমে ঢুকে আত্মহত্যা করেন।”

ইয়াকুবের দাদা শ্বশুর মন্তাজ মিয়া বলেন, “আমরা খবর পেয়ে সন্ধ্যা রাতে সুনামগঞ্জ শহরে এসেছি। কী কারণে কোন দুঃখে আমাদের নাতজামাই আত্মহত্যা করল চিন্তা করতে পাচ্ছি না। আমার নাতনির সঙ্গে জামাইয়ের খুব মিল ছিল।”

নিহতের আরেক ছোট ভাই জহুর আলম বলেন, “আমার ভাই শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে বাসায় আসেন। ভাবিও ছিলেন বাসায়। শনিবার ভাবি তার বাবার বাড়ি চলে যান। আজ বাথরুমে গিয়ে আমাদের অজ্ঞাতে তিনি গলায় গামছা পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন।”

নিহতের বাবা নূরুজ্জামান বলেন, “আমি দরিদ্র কৃষক। কষ্ট করে বড়ো সন্তান ইয়াকুবকে লেখাপড়া করিয়েছি। সে এনএসআইয়ে চাকরি পেয়ে সুনামগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া করে আমাদের নিয়ে আসে। তার পছন্দে গত অগাস্ট মাসে আমরা তাকে বিয়েও করাই। এখন ছুটিতে এসে আমার ছেলে এভাবে মারা যাবে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।”

সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই রূপক বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।”

সদর থানার ওসি মো. শহিদুর রহমান বলেন, “জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য গলায় গামছা পেঁছিয়ে বাথরুমের কার্নিশে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”