রোববার রাতে উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ি এলাকায় এই হামলা হয় বলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মানিক জানান।
আহত ফয়সাল মাহবুব শুভ পিরোজপুর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত অন্যরা হলেন সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি হাসান সিকদার, জেলা যুবলীগ নেতা ইরতিজা হাসান রাজুসহ কয়েকজন।
এই হামলার জন্য তারা জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাসির উদ্দিন মাতুব্বরকে দায়ী করছেন।
ইরতিজা হাসান রাজু সাংবাদিকদের বলেন, নৌকা মার্কার পক্ষে প্রচারণা জন্য শংকরপাশা এলাকায় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ যান। শংকারপাশা ইউনিয়নের মল্লিকবাড়ি এলাকায় গেলে হঠাৎ করে নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের লোকজন তাদের উপর গুলি করে এবং অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
“এ সময় ফয়সাল মাহবুব শুভ গুলিবিদ্ধ হন এবং সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ-সভাপতি হাসান সিকদারে মাথায় অস্ত্রের কোপ পড়ে। এছাড়া আরও কয়েকজন নেতা-কর্মী পিটুনিতে আহত হন।”
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সহায়তায় ফয়সাল মাহবুব শুভসহ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সাদউল্লাহ লিটন বলেন, নৌকা মার্কার পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রচারণা করার সময় নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের উপর গুলি চালায় এবং অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রানা সাহা বলেন, গুরুতর অবস্থায় ফয়সাল মাহবুব শুভ ও হাসান সিকদারকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে শুভকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, শংকরপাশা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয় জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও আনারস মার্কার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাসির উদ্দিন মাতুব্বরের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। পরে শংকরপাশায় তার বাড়ি গিয়েও দেখা করা সম্ভব হয়নি।