শনিবার রাতে সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের শিয়ালজুড়ী গ্রামে এই হামলা হয়।
আহত সিরাজুল ইসলাম (৫৫) শিয়ালজুড়ী গ্রামের প্রয়াত ইউসুফ মোল্লার ছেলে। তাকে মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজুল ইসলাম সদস্য পদপ্রার্থী।
এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার মাগুরা সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি সদরের গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য পদপ্রার্থী। নির্বাচনী প্রচার শেষে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবেশী কুমারেশের বাড়িতে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন।
“এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একদল দুবৃর্ত্ত সেখানে এসে আমাকে ঘিরে ধরে। তারা অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে জখম করে এবং বেধরক মারধর করে।”
পরে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “রাতে আমি নির্বাচনী প্রচার কাজ করি না। শুনেছি মেম্বার প্রার্থী হয়ে নৌকার ভোট চাইতে গিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় কে বা কারা তাকে মেরেছে। সিরাজুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনার সাথে আমি বা আমার লোকজনের কোনো সংশ্লিষ্টিতা নেই।”
প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী হওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তার ভাষ্য।
মাগুরা সদর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের চাচা সাত্তার মোল্লা বাদী হয়ে রোববার বিকালে ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।