ফেনী থেকে লং মার্চটি বুধবার বেলা ১১টায় নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌঁছানোর পর ফেনী-চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে চৌমুহনী পাবলিক হলের সামনে তাদের সমাবেশ হয়।
তাতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, নোয়াখালী সিপিবির সাধারণ সম্পাদক দ্বিপক রায়, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সম্প্রতি দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার একটি মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর তা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ফেনী, রংপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
১৫ অক্টোবর দশমীর দিন নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি মন্দির ও মণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর হয়। সে সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ। পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিছিল-সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, কমিউনিস্ট লীগের নেতারা ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে এসব ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। তারা নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নোয়াখালীর ডিসি এবং পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত করার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে লং মার্চটি লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
জোট সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ হয়ে সন্ধ্যায় চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ জিরো পয়েন্টে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ সমাপ্ত হবে।
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন রুখে দাঁড়াও’ এই শ্লোগানে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানী ঢাকার পল্টন মোড়ে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শুরু হয়। পরে কুমিল্লা ও ফেনী হয়ে নোয়াখালী আসে।