মাগুরায় ৪ খুন: দুই আসামি রিমান্ডে, একজনের স্বীকারোক্তি

মাগুরায় নির্বাচনী সংঘর্ষ ও চারজন নিহতের দুটি মামলার একটির প্রধান আসামিসহ দুইজনকে রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। একই মামলায় আরেক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2021, 02:24 PM
Updated : 2 Nov 2021, 02:24 PM

মঙ্গলবার বিকালে মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বুলবুল আহমেদ এই রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে একই আদালতে এই মামলার এক আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

গত ১৫ অক্টোবর মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের এই সংঘর্ষে তিন সহোদরসহ চারজন নিহত হন। এই ঘটনায় তিন সহোদর নিহেতে একটি এবং অপরজন নিহতে আরেকটি মামলা হয়। তিনজন নিহতের মামলায় ১১ জন গ্রেপ্তার হলেও একজন নিহতের মামলায় কোনো গ্রেপ্তার নেই। 

মাগুরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, গত রোববার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার গাবতলী এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশ এই মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন ধার্য করে।

জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃত চার আসামিকে আদালতে হাজির করলে সরকার ও আসামি পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শেষে মামলার প্রধান আসামি নজরুল মেম্বার এবং তুহিন হোসাইনকে জিজ্ঞাসাদের জন্য দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দেয়।

এছাড়া আসামি রিয়াজ হোসাইন ও ইয়ামিন হোসেনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় আদালত।

এর আগে সকালে এই আদালতে এই মামলার গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি জামিল শেখ ওরফে জালাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জয়নাল আবেদীন জানান।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর বিকালে মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল ইসলামের সমর্থকদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের অপর সদস্য প্রার্থী সৈয়দ হাসানের সমর্থকদের সংঘর্ষে তিন ভাই সবুর মোল্লা, কবির মোল্লা ও রহমান মোল্লা এবং ইমরান হোসেন নামে অপর এক যুবক নিহত হন।

ঘটনার তিন দিন পর ১৮ অক্টোবর সবুর মোল্লার ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্লা বাদী হয়ে তার তিন ভাই হত্যার ঘটনায় নজরুল মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ৬৮ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে ইমরান হোসেন হত্যার ঘটনায় তার মা ফরিদা বেগম ১৯ অক্টোবর ৫২ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

তিন ভাই হত্যার মামলায় পুলিশ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইমরান হোসেন হত্যার মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই দুটি মামলার কার্যক্রম একই আদালতে চলছে।