আট মাসেও সন্ধান মেলেনি গাইবান্ধার নিখোঁজ স্কুলছাত্রের

নিখোঁজ হওয়ার আট মাসের কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর ১২ বছরের এক শিশুর সন্ধান মেলেনি।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2021, 06:09 PM
Updated : 27 Oct 2021, 06:09 PM

এই শিশু উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের বাসিন্দা এবং ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয় বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।  

নিখোঁজ হওয়ার ছয় দিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বাবা।

নিখোঁজের প্রায় পাঁচ মাস পর কচাকাটা থানার সুবারকুটি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন ও রেজাউল করিম, ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে হাসান মিয়া ও তার স্ত্রী তানজিনা বেগমের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এই শিশুর বাবা।

শিশুটির বাবার অভিযোগ, উপজেলার ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় নিখোঁজ শিশুর বড় চাচার বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাখাওয়াত ও রেজাউল করিম সেখানে কিছু ছাত্রকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা দিতেন। তাদের এ শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় তারা এই শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে বিশ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখাত। এভাবেই প্রলোভন দেখানোর কিছুদিন পর সে নিখোঁজ হয়।

শিশুটির বাবার অভিযোগ, এই শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রেজাউল পলাতক রয়েছেন। এর ১৫/১৬ দিন পর সাখাওয়াতও কাউকে কিছু না জানিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। বন্ধ হয় তাদের কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম।

এই শিশুকে রেজাউল ও সাখাওয়াত সঙ্গে নিয়ে গেছেন এবং হাসান আলী ও তার স্ত্রী তানজিনা বেগম এই নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিশুটির বাবা বলেন, “আমার শিশু সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর ফুলবাড়ী থানায় ডায়েরি এবং পরবর্তীতে  চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগ দেওয়ার প্রায় ২০ দিন পর ফুলবাড়ী থানার এক এসআই আমাকে বলে অভিযোগের কপি হারিয়েছে। আমি আবারও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপরও আমার ছেলেকে উদ্ধারে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখিনি।”

থানায় গেলে ওসির কথায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন জানিয়ে বলেন, “পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করি। তিনি আমার উপস্থিতিতে নাগেশ্বরী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ও ফুলবাড়ী থানার ওসিকে বাচ্চাটি উদ্ধারে তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও আমার ছেলে উদ্ধার হয়নি।

ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সবাইকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো ক্লু পাইনি। পিবিআইকে রবির সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সকল পুলিশ স্টেশনে ছবিও পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।”