কুমিল্লায় পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

পক্ষপাতমূলক আচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কুমিল্লার চান্দিনা থানার এক এসআইয়ের প্রত্যাহার দাবি করেছে এলাকাবাসী।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2021, 04:11 PM
Updated : 27 Oct 2021, 04:11 PM

বুধবার দুপুরে চান্দিনা উপজেলার তুলাতলী গ্রামের লোকজন চান্দিনা থানার সামনে মানববন্ধনে এসআই আব্দুস সুলতানকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

তারা ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবি এবং তা না পেয়ে বাদীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় রনবীর ও সাইফউদ্দিন বলেন, গত ২৫ জুলাই তুলাতলী গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্মক আহত হন নূরুল আমিন সোহাগ, তার বাবা রুহুল আমিন ও ছোট ভাই নাঈম।

ঘটনার পর সোহাগের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই সময় প্রতিপক্ষরা থানায় কাউন্টার মামলা করতে গেলে থানার ওসিসহ তদন্ত কর্মকর্তাগণ তাদের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলা গ্রহণ করেননি।

পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের লোকজন আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করেন। ওই দুইটি মামলার দায়িত্ব পায় চান্দিনা থানা।

এর মধ্যে এক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সুলতান সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভিকটিম সোহাগের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া সোহাগ এক লাখ টাকা না পাওয়ায় প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভিকটিমের বিরুদ্ধেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন বলে অভিযোগ সুলতানের বিরুদ্ধে।

নূরুল আমিন সোহাগ বলেন, “আমার মাথায় চারটি কোপ লাগে। আমাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ২১২টি সেলাই দিয়ে প্রাণে বাঁচানো হয়। এ পর্যন্ত আমার মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”

আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে তার বিরুদ্ধে পরপর দুইটি উল্টো মামলা দায়ের করে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই মামলায় সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য এসআই সুলতান আমার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবি করেন।”

এই কারণে গত ১৪ অক্টোবর তিনি এসআই সুলতানকে ২০ হাজার টাকা দেন বলে দাবি করেন।

“এরপর ১৯ অক্টোবর এসআই সুলতান আরও টাকা চাইলে আমি বাধ্য হয়ে ২০ অক্টোবর সকালে আরও ৫ হাজার টাকা দেই। পরবর্তীতে আদালত থেকে ওই রিপোর্ট এনে দেখি এসআই সুলতান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট রিপোর্ট দেওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আমার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।”

তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এসআই সুলতানের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে এসআই আব্দুস সুলতান বলেন, “উভয়পক্ষের মারামারিতে সোহাগ মারাত্মক আহত হয় সেটা বাস্তব। তবে প্রতিপক্ষরাও আহত হয়। রিপোর্টটি তাদের পক্ষে যায়নি বলেই তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।”

চান্দিনা থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, “এসআই সুলতানের বিরুদ্ধে ভিকটিম সোহাগের অভিযোগটি জেনেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”