আসামি ইমরান হোসেন নিশান মঙ্গলবার জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম কাজী সোনিয়া আক্তারের আদালতে এই স্বীকারোক্তি দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ইমরান হোসেন নিশান আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
“জবানবন্দিতে নিশান গত ১৫ অক্টোবর চৌমুহনী সাম্প্রদায়িক হামলায় যোগ দিয়ে মন্দিরের দানবাক্স থেকে ৮ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে। মন্দির ভাংচুরের সময় জেলা যুবদল সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনসহ আরও চারজনকে লাঠি হাতে দেখেন বলেও উল্লেখ করে সে।”
ইমরান হোসেন নিশান বেগমগঞ্জের পূর্ব করিমপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। গত ১৭ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি পূজামণ্ডপ এবং হিন্দুদের বাড়িঘরে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা-ভাংচুরের সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় দায়ের করা ২৬ মামলায় জেলায় ২০১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯০ জন এজাহারভুক্ত এবং ১১১ জন সন্দেহভাজন আসামি। তাদের মধ্যে ছয় জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন; এবং সেখানে ‘বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য’ এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।