সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার আরও ৮

নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ আরও আট আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2021, 07:25 AM
Updated : 26 Oct 2021, 12:49 PM

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, হবিগঞ্জ ও নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এরা হল- নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা মিরওয়ারিশপুরের বিএনপি কর্মী মো. ইউসুফ, হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সিরাজুল হক,  বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুরের ইমরান হোসেন ও মো. রনি, চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের আখতারুজ্জামান, সোনাইমুড়ী উপজেলার রশিদপুর গ্রামের রবিউল হোসেন ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সর্বত্র গ্রামের সাহেদুল ইসলাম।

ইমরান ও রনিকে হবিগঞ্জ জেলা এবং রবিউলকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ইমরানের কাছ থেকে রাম ঠাকুর আশ্রম থেকে লুট করা ২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ২৬ মামলায় জেলায় ২০১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৯০ জন এজাহারভুক্ত এবং ১১১ জন সন্দেহভাজন আসামি। এর মধ্যে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ছয়জন।

দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার একটি মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর তা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ফেনী, রংপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

১৫ অক্টোবর দশমীর দিন নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি মন্দির ও মণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর হয়। সে সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ। পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্লাহপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ফয়সাল ইনাম কমলকে (৩৯) ওই ঘটনার ‘অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা’হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই মামলায়।

পরে কমলসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রোববার (২৬ অক্টোবর) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কমল সোমবার রাতে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেয় বলে পুলিশ জানায়।

আরও পড়ুন