গত ১৭ অক্টোবর শিশুটিকে অজ্ঞাত কোনো দম্পতির কাছে হস্তান্তর করার কথা জানালেও এখন কোথায় কার কাছে আছে তা কেউ বলতে পারছে না।
শিশুটির বাবা হোসেন আলী (৩২) ও মা রওশন আরা (২৫) রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের আঠারোকোঠা গ্রামের বাসিন্দা।
শিশুটির মায়ের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, দুই সন্তানের জননী রওশন আরা দেড় বছর আগে ১ম স্বামীকে তালাক দিয়ে বাড়ির পাশের বেদেপল্লীর দুই সন্তানের জনক হোসেন আলীকে বিয়ে করেন। এরপর তারা আঠারোকোঠা এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। চলতি মাসে তাদের এক ছেলে হয়। নাম রাখেন হাছানুল হক ইনু।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, গত ১৭ অক্টোবর রাতে হোসেন আলী স্ত্রীর অজ্ঞাতে শিশু ইনুকে নিয়ে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের চালুনিয়া মধ্যপাড়া যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশীরা জানান, চালুনিয়া মধ্যপাড়ায় আছির নামের একজন [হোসেন আলীর প্রতিবেশী] ও অন্য দুই জন অজ্ঞাত ব্যক্তির মধ্যস্থতায় এক লাখ টাকার বিনিময়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার এক নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেন ছেলে ইনুকে।
এদিকে, মা রওশন আরা ছেলেকে না পেয়ে কান্নাকাটি, হইচই করলেও হোসেন আলী ফিরে আসার পর শান্ত হয়ে যান বলে এলাকাবাসী জানান।
তাদের ভাষ্য, হোসেন আলী একটি মোটরসাইকেল ও টাচ্ মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি এসে স্ত্রীকে দেওয়ার পর তিনি চুপ হয়ে যান। কিন্তু প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে হোসেন আলী কোনো এক ফাঁকে স্ত্রীকে নিয়ে পীরগাছা চলে যান।
পরে পীরগাছা গিয়ে রওশন আরা ও হোসেন আলীর সঙ্গে দেখা করলে তারা বলেন, তারা তাদের সন্তানকে বিক্রি নয়, বরং পোষানী [দত্তক] দিয়েছেন ৩০ হাজার টাকায়।
এ ব্যাপারে পীরগাছা ইউএনও শেখ সামছুল আরেফিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টা জেনেছি। রাতেই বাচ্চার বাবার সাথে কথা বলেছি। বাচ্চা ফেরৎ নিতে চাইলে আমরা ব্যবস্থা নিব। শিশুটি এখনও উদ্ধার হয়নি।”