ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরে ৩৭৩ অভিযান

মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌনে চারশয়ের মতো অভিযান পরিচালনা করেছে।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2021, 02:17 PM
Updated : 25 Oct 2021, 02:17 PM

পদ্মা ও মেঘনায় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ ২৭৮টি অভিযান ও ৯৫টি ভ্রম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। 

গত ৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত চাঁদপুরের ৭০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ ছিল। সেই হিসাবে সোমবার ছিল নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন।

অভিযান সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিয়ানে প্রায় এক কোটি ৮ লাখ মিটার জাল আটক করা হয়; যার মূল্য ২১ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকার অধিক। চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর ও হাইমচরের ২১৮ জন জেলেকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ১০৮টি মামলা করেছে। এছাড়াও ১ হাজার ৮৯১ বার আড়ৎ, ৬১৩ বার বাজার ও ২৬৫ বার মাছঘাট মনিটরিং হয়েছে। নিলাম থেকে ১৯ লাখ টাকা আয় হয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে সোমবার রাত ১২টার পর মা ইলিশ রক্ষার অভিযান শেষ।

“তবে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা নিধন করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; পহেলা নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।”

মূলত এটি মার্চ-এপ্রিল এই দুমাস হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধনে সব্বোর্চ শাস্তি এক থেকে দুবছর কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে দেশের সব প্রজনন স্থানগুলোকে ২২ দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে ইলিশ ধরা, আহরণ, বিক্রি ও বিপণন বন্ধ ছিল। ইলিশের এ প্রজনন সময়ে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলেদের ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।