কু‌মিল্লায় মণ্ডপ থেকে খোয়া যাওয়া ‘হনুমানের গদা’টি উদ্ধার

কুমিল্লা নগ‌রের নানুয়া দীঘির পাড়ের অস্থায়ী পুজামণ্ডপের হনুমানের মূর্তি থেকে খোয়া যাওয়া গদাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কু‌মিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2021, 07:54 PM
Updated : 25 Oct 2021, 07:15 AM

রোববার রাত সাড়ে ১১টায় দারোগাবাড়ি মাজারের পাশে ফেডা‌রেল সাংবা‌দিক ইউ‌নিয়‌নের সা‌বেক সভাপ‌তি গিয়াস কামাল চৌধুরীর দোতলা বা‌ড়ি চৌধুরী ভবনের সাম‌নের একটি ঝোঁপ থেকে গদাটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার ইকবালের ‘দেওয়া তথ্যে’ গদাটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ।

ইকবাল মাজার থেকে কুরআন শরিফ নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর প্রথম প্রহরে ওই পূজামণ্ডপে নিয়ে হনুমানের মূর্তির কোলে রেখে গদাটি নিয়ে এসেছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

সকালে ওই ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায়, হামলা হয় ওই পূজামণ্ডপে, সেদিনই কুমিল্লা শহরের আটটি মন্দিরে হামলা হয়।

দুর্গাপূজার মধ্যে ওই ঘটনার জেরে দেশের আরও কয়েকটি জেলায় আক্রান্ত হয় হিন্দু সম্প্রদায়; হামলা, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় আটজন।

ঘটনাস্থলের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে মণ্ডপে কুরআন রেখে আসা ব্যক্তি হিসেবে মাজার এলাকারই ইকবালকে চিহ্নিত করার কথা জানায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।

শনিবার আদালতের মাধ্যমে ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ। একদিন বাদে রোববার রাতে তাকে নিয়েই গদাটি উদ্ধার করা হয়।

ধর্ম অবমাননা, হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় কুমিল্লায় নয়টি মামলায় অর্ধশতাধিক জনকে আটক করেছে পুলিশ। তার মধ্যে ইকবাল ছাড়াও ইকরাম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন নামে আরও দুজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে কুরআন অবমাননার মামলাটির তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেওয়া হয়েছে।

রোববার রাতে সিআইডি কুমিল্লার সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ঘটনার দিন ১৩ অক্টোবরই কোতয়ালি মডেল থানার এসআই হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।