বরগুনার বেতাগীর ৫ কিলোমিটার বেহাল, চলাচলে ভোগান্তি

বরগুনার বেতাগী উপজেলার পুলের হাট-জলিশা বাজার এলাকায় প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে পিচ উঠে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে  চলাফেলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।  

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2021, 09:31 AM
Updated : 23 Oct 2021, 09:31 AM

এলাকাবাসী বলছেন, এ পথে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে যানবাহন ও পথচারীরা চলাফেরা করছে ঝুঁকি নিয়ে।

বেতাগী উপজেলার ‍পুলেরহাট বাজার থেকে বাসন্ডা হয়ে জলিশা বাজার পর্যন্ত চলে গেছে সড়কটি। বেতাগী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে জলিশা বাজার। এটি এই উপজেলার মধ্যে একটি অন্যতম বাজার। পাশাপাশি সপ্তাহে দুই দিন এ বাজারে হাট বসে।

তাছাড়া জলিশা বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ডিগ্রি কলেজসহ কৃষি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। ফলে নানা দিক থেকে জলিশা বাজার এ অঞ্চলের মানুষের কাছে গুরুত্ব বহন করে।

কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার লোকজন।

সরেজমিনে দেখা গেছে,  ওই ৫ কিলোমিটার অংশে পোলের হাট, বাসন্ডা, গোয়াল বাড়ি, জলিশা বাজার এলাকার অধিকাংশ স্থানেই খোয়া-পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

সড়কের একপাশ দিয়ে চলছে ছোট যানবাহন। বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে পুকুরের মতো তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলাচল করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

জলিশা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, “জলিশা বাজার থেকে পোলের হাট বাজার পর্যন্ত সড়কের ৫ কিলোমিটারের খুবই নাকাল অবস্থা। এ সড়কটি সংস্কারের অভাবে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে।

“এ সড়কে ছোটবড় হাজার হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলা এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।”

এ সড়কে চলাচলসকারী অটোরিকশা চালক হানিফ হাওলাদার বলেন, পুলের হাট-জলিশা বাজার সড়কের যে রাস্তা পার হতে দশ মিনিট লাগার কথা সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা লাগে। প্রায়ই এ সড়ক পার হতে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এতে গাড়ির যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ বিসয়ে হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের কাছে এ সড়ক সংস্কারের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ নেই।

“তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে কয়েকটি গর্ত সংস্কার করেছেন। বাকি গর্তগুলো শিগগিরই সংস্কার করা হবে।”

এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।