বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন মোজাম্মেল হক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন উল্লাস আছে, তাদের দেখে আমাদের মধ্যেও এক ধরনের আনন্দ তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সরাসরি দেখতে পারাটাই ভাল লাগার বিষয়।
“শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষক হচ্ছে নির্জীব মানুষের মত। শিক্ষার্থীরা থাকায় আমাদের ভিতরের যে অভিব্যক্তি আছে তা প্রকাশ করার রাস্তা প্রশস্ত হয়েছে।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত বছরের ১৮ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
নতুন করে সশরীরে ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রত্যেক অনুষদের সামনে হাত ধোয়ার জন্য বসানো হয়েছে বেসিন, সঙ্গে হ্যান্ডওয়াশ। অনুষদের পাশাপাশি অনেক বিভাগেও এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিভাগে ঢোকার সময় প্রবেশপথে রয়েছে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা।
ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা টিএসসি, ক্যাফেটেরিয়া, মুরাদ চত্বর, মুন্নী চত্বর, শহীদ মিনার ও পরিবহন চত্বরে আড্ডা দেন আগের দিনের মত।
মুরাদ চত্বরে আড্ডার ফাঁকে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওসিফ আব্দুল্লাহ বলেন, “এত দিন যে অবস্থায় ছিলাম এতে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু হারিয়েছি। এত দিন পর বন্ধু, শিক্ষকদের দেখা পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে ক্লাস শুরু করেছি। আশা করি ঠিকভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারব।”
অনেক দিন পর ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দেখা পেয়ে শিক্ষকরাও অনেক আনন্দের কথা জানিয়েছেন।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারপার্সন শেখ আদনান ফাহাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেড় বছর ধরে আমরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি। অনেক প্রতীক্ষার পর আজ সরাসরি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা। এটা সত্যিই আনন্দের।
“শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমত মেনে চলে সে প্রস্তুতি নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের প্রবেশের মুহূর্তে তাপমাত্রা পরিমাপ করিয়ে গোলাপ ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নিয়েছি। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন ক্লাস করা হয় সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।”