হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশিদ ইব্রাহীম খলিল জানান, মন্দিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ২ হাজার থেকে ২২শ’ জনকে আসামি করে দুটি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গত কয়েকদিনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আরও আটটি মামলা দায়ের করেছেন। সবশেষ বুধবার (২০ অক্টোবর) মামলা হয়েছে । প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনশ থেকে চারশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ সব মামলায় গ্রেপ্তার ২৯ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
গত ১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়। এর জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মীনারায়ণ জিওর আখড়া মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর এবং হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয় পরে।
নিহতরা হলেন- টাইলস মিস্ত্রি চাপাইনবাবগঞ্জের সুন্দরপুর বাগডাঙা এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে মো. বাবলু (৩৫), হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রান্ধনী মোড়ার তাজুল ইসলামের ছেলে আল আমিন (১৮), একই এলাকার মো. ফজলুর ছেলে ইয়াছিন হোসেন হৃদয় (১৪) ও পৌরসভার রান্ধনী মোড়ার বাচ্চুর ছেলে মো. শামীম (১৯) ও ট্রাকচালক সাগর (২৫)। আহত হন পুলিশ সদস্যসহ আরও ৩০ জন।
এদিকে এ ঘটনা তদন্তে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তারা আরও সময় চেয়েছেন বলে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ঘটনা তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটিকে এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছিল; তবে তারা আরও সময় চেয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের আরও ৫/৭ দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”