নাসিরনগরে মন্দিরে-বাড়িতে হামলা: ৫ বছরে শেষ হয়নি তদন্ত

ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দিরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় পাঁচ বছর চলে গেলেও শেষ হয়নি তদন্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2021, 09:41 AM
Updated : 20 Oct 2021, 09:41 AM

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, “প্রায় প্রতিটি মামলায় শত শত আসামি। তাদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা কঠিন কাজ । ঘটনার দিনের ভিডিও এবং ছবি দেখে নিশ্চিত হয়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাই তদন্ত শেষ করতে দেরি হচ্ছে।”

ফেইসবুকে রসরাজ দাস নামে এক তরুণের আইডি থেকে ধর্ম অবমাননাকর ছবি পোস্টের জেরে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দুদের ১৫টি মন্দির ও অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় আটটি মামলা হয় সে সময়।

মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রসরাজ দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফেইসবুক কী জিনিস তা-ই আমি জানতাম না। অথচ ঘটনার দিন আমাকে একদল লোক মারতে মারতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আমি গুরুতর আহত হই। পরে তারা আমাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে। আমাকে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।”

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মামলার দায় থেকে মুক্তি চান মৎস্য শিকারি রসরাজ দাস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, “গত পাঁচ বছর ধরে মামলার কোনো কূলকিনারা করতে না পারা বিচারহীনতার প্রকাশ। যদি যথাসময়ে মন্দির ও হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দেওয়া হত তাহলে সম্প্রতি কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, রংপুরে এমন বর্বর ঘটনা ঘটত না।”

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করার দাবি জানান তিনি।