সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অমর একুশ' ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বলেন, "কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, রংপুরে যে সম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এ কাজ করা হয়েছে; যার প্রমাণ হাজীগঞ্জ, হাতিয়া, বাঁশখালী, বান্দরবানের লামার হামলা ও হতাহতের ঘটনা।"
ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, "আমরা অতীতেও নানা অভিযোগে এ ধরনের হামলা দেখেছি। রামু, নাসিরনগর, সাঁথিয়া, বাঁশখালীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এরকম কোনো ঘটনার বিচার আজ পর্যন্ত সরকার করেনি।
"সাম্প্রতিক ঘটনার পরও সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে গড়িমসি করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার।”
তিনি অবিলম্বে এই হামলায় জড়িত সকলকে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান এবং দেশের জনগণের প্রতি অসাম্প্রদায়িকতার চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সামিল হবার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন থেকে ৩ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. সাম্প্রদায়িক হামলা রুখে দিয়ে উস্কানিদাতাদের গ্রেপ্তার ও বিচার করা।
২. দেশব্যাপী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরে পূজামণ্ডপ, মন্দির, বাড়ি-ঘরে হামলার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার ও বিচার করা।
৩. ধর্মভিত্তিক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করা।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সুমাইয়া ফেরদৌস ও আরিফুল ইসলাম।