প্রণোদনা পাননি রংপুর হাসপাতালের নার্সরা, পরিচালককে অবরুদ্ধ

প্রণোদনার টাকা না পেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন নার্সরা।

রোববার সকালে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। প্রণোদনার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ না দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন।

তাদের অভিযোগ, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। প্রণোদনার সেই টাকা হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্য কর্মচারীরা পেয়েছেন। কিন্তু নার্সদের এই প্রণোদনার টাকা দিতে টালবাহানা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সিনিয়ার নার্স ফারুক হোসেন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বলেন, “আমরা এর আগে ৭ জুলাই আন্দোলন করেছি। সেদিনও একই দাবি পরিচালককে জানিয়েছি। তাকে একাধিকবার তালিকাও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।”

সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর তালিকা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সেই তালিকা এখনও পাঠানো হয়নি। উল্টো পরিচালক খারাপ ব্যবহার করছেন।”

নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, “আমরা তো সরকারঘোষিত প্রণোদনার অর্থ চাচ্ছি। কোনো অন্যায় দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি না। এটা আমাদের ন্যায্য পাওনা। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে আমাদের অবহেলা করছে।”

দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ প্রণোদনার অর্থ না দেওয়া হলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন তিনি।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফোরকান আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রণোদনার বিষয়ে পরিচালকের কাছে গেলে তিনি অশোভন আচরণ করেন। ফুলদানি ও টেলিফোন ছুড়ে ফেলেন। আমরা তো তার কাছে করুনা চাচ্ছি না। তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন।”

তিনি আরও বলেন, “ইতোমধ্যে হাসপাতালের ২৪২ জন চিকিৎসকের সবাই প্রণোদনা পেয়েছেন। অন্য কর্মচারীরাও প্রণোদনার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের এখন পর্যন্ত একটি টাকাও দেওয়া হয়নি। অথচ আমরা সব থেকে বেশি সেবা দিচ্ছি।”

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল; তা সমাধান হয়েছে। তারা কাজে যোগ দিয়েছেন।”