নোয়াখালীর ডিসি-এসপির অপসারণ চান রানা দাশগুপ্ত

নোয়াখালীতে মন্দিরে হামলা ঠেকাতে ‘ব্যর্থতার’ জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অপসারণ দাবি করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2021, 01:55 PM
Updated : 17 Oct 2021, 01:55 PM

গত শুক্রবারের হামলা-ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি মন্দির রোববার দুপুরে পরিদর্শন করে এই প্রবীণ আইনজীবী।

তিনি বলেন, “ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে আমরা এই নোয়াখালীর ডিসি এবং এসপির অনতিবিলম্বে অপসারণ দাবি করছি।”

তিনি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্ত মঠ-মন্দিরগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়ারও দাবি জানান সরকারের কাছে।

সেই সঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেন রানা দাশগুপ্ত।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, গত বছর অতিমারি পরিস্থিতির কারণে এ দেশের হিন্দুরা শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে পারেননি। এ বছর তারা ভেবেছিলেন, শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করবেন এবং ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দুর্গাপূজা উৎসবে পরিণত হবে। এ রকম একটি আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সপ্তমীর দিনে।

“কিন্তু অষ্টমীর দিন সেই যে কুমিল্লায় শুরু হলো তারপর একটানা চলছে। কুমিল্লার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর কথায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করলাম, পরদিনই চৌমুহনীতে, চট্টগ্রামে হামলা ও তাণ্ডবলীলা চালানো হলো।”

এ সময় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক বিনয় কিশোর রায়, সদস্য সচিব পাপ্পু সাহা,  চৌমুহনী পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার বিকালে একটি পূজামণ্ডপে হামলা চালানো হলে ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যু হয় বলে পুলিশের ভাষ্য। তবে ওই ব্যক্তি মারধরে মারা গেছেন বলে স্থানীয় হিন্দু নেতাদের অভিযোগ। পরদিন সকালে চৌমুহনী কলেজ রোডে ইস্কন মন্দির সংলগ্ন পুকুরে ভাসমান অবস্থায় পার্থ দাস (২৬) নামে এই ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়।