শনিবার রাত ১২টার পরে প্রায় ১৪/১৫ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী চিৎমরম ইউনিয়নে তার বাড়ির দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে গুলি করে হত্যা করে বলে জানান কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুচাইন চৌধুরী।
নেথোয়াই মারমা ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন।
আগামী ১১ নভেম্বর হতে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কাপ্তাই আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুচাইন চৌধুরী বলেন, “এতদিন তিনি (নেথোয়াই মারমা) উপজেলা রেস্টহাউসে ছিলেন। আজই (শনিবার) মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে চিৎমরমে এলাকায় গিয়েছিলেন নেতাকর্মী ও স্বজনদের সাথে দেখা করতে।
“রাত ১২টার দিকে তার বাড়িতে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে গুলি করে তাকে হত্যা করে গেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।“
এর আগে চিৎমরমে দুই জন যুবলীগ নেতার হত্যার ঘটনার পর তিনি (নেথোয়াই) উপজেলা সদরে রেস্টহাউজেই বসবাস করতেন বলে অংসুচাইন জানান।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর ও অংসচাইন এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছেন।
মুছা মাতব্বর আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পার্বত্য জেলার সব ইউনিয়নের প্রার্থীদের নিরাপদে ও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা অনেকটা যোগাযোগের বাইরে।