টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতার ওপর ‘ছাত্রদলের’ হামলা

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর ছাত্রদলের হামলার অভিযোগ উঠেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকটাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2021, 05:17 PM
Updated : 17 Oct 2021, 05:22 AM

আহত চারজনকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন- উপজেলার হাবলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইশরাক আল হোসাইন  (২৪), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সৌমিক (২০) সদস্য সাব্বির (২৩), ও সারওয়ার সানী (২২)।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজীব বলেন, “আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের শরীরে কিছুটা বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনজনের মাথায় ও হাতে দা দিয়ে কোপানোর জখম রয়েছে।”

আহতদের অভিযোগ, শনিবার বেলা দেড়টার  দিকে তারা মটরসাইকেলে হাবলা করাতিপাড়া বাইপাস বাজারের কাছে গেলে তাদের ওপর হঠাৎ করে হামলা করা হয়। অধিপত্য বিস্তার করার জন্য এই হামলা হয়।

হাবলা ইউনিয়নের করাতিপাড়া পাইপাস বাজার এলাকায় হাবলা ইউনিয়ন বিএনপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক  ‘আব্দুস সবুর মিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদলের নাজমুল, কাউসার, আলী আকবর, সিয়াম তাদের ওপর হামলা করেন’ বলে আহতদের অভিযোগ। তবে ছাত্রদলে তাদের অবস্থান কী তা বলতে পারেননি অভিযোগকারীরা।

আহত সারওয়ার সানীর মামাত ভাই মো সবুজ হোসেন বলেন, “প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুইজনের অবস্থা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সাব্বির ও সৌমিকের অবস্থা বেশ খারাপ। চিকিৎসকরা আমাদের সুনির্দিষ্ট করে এখনও কিছু বলছেন না। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষা করছেন।”

এ বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দেশবিরোধী চক্র আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রলীগের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে আবারও অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছে। দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজির রাজনীতির পরিবর্তে  ছাত্রলীগ যখন মননশীল ছাত্ররাজনীতির উজ্জ্বল অতীতকে ফিরিয়ে এনেছে, ঠিক সে সময়েই ছাত্রদলের এ রকম হামলার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

“ছাত্রলীগ তাদের বিকৃত রাজনীতিকে আর প্রশ্রয় দেবে না। আঘাতের জবাব দেওয়া হবে। ছাত্রলীগের যেকোনো অঞ্চলের যেকোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর ওপর যদি হামলা হয় সেটা ছাত্রলীগ নামের ওপরে হামলা। আর অস্তিত্বের ওপরে হামলা হলে ছাত্রলীগ ঘরে বসে থাকবে না। এ বিষয়ে প্রশাসনের সজাগ ও সতর্ক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ করছি।”

তবে আহতরা এখনও থানায় অভিযোগ দেননি।

বাসাইল থানার ওসি হারুনূর রশিদ বলেন, “এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঘটনার পর মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান আহত নেতাদের দেখতে হাসপাতালে দেখতে যান।