জাতীয় সংসদের হুইপ আওয়ামী লীগের সাংগঠিনক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে দলটি বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা আসে।
পরে স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, “দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি গোষ্ঠী ন্যক্কারজনক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
বুধবার সকালে কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় অনেকে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কুমিল্লা সার্কিট হাউজে দলীয় ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
বৈঠক শেষে ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ৪১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
তারা গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ফয়েজ আহমদ নামে প্রধান এক সন্দেহভাজনসহ ৪১ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সায়েদুল আরেফিনকে প্রধান করে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ ও আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিনকে সদস্য করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
বৃহস্পতিবারও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবির টহল অব্যাহত ছিল।