চাঁদপুরে মন্দিরে হামলা-সংঘর্ষ: জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মীনারায়ণ জিওর আখড়া মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর এবং হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2021, 09:49 AM
Updated : 14 Oct 2021, 09:49 AM

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বৃহস্পতিবার জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে গঠিত ৫ সদস্যের এ কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যার পর মন্দিরে হামলা ও সংঘর্ষের পর রাতেই হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে পৌর এলাকায়।

বুধবার সকালে কুমিল্লায় নানুয়া দিঘীর পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে বেশ কিছু মন্দির ও মণ্ডপে হামলা হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

এর জেরে রাতে গাজীপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজারে বেশ কিছু মন্দির ও পূজা মণ্ডপেও হামলা ও ভাঙচুর হয়। চাঁদপুরে হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুহিদাস বণিক বলেন, রাত ৮টার পর উপজেলার মনিনাগ এলাকা থেকে একটি মিছিল এসে লক্ষ্মীনারায়ণ জিওর আখড়ায় হামলা চালায়।

বাজারের ওই মন্দির ছাড়াও আরও কয়েকটি স্থানে মন্দিরে হামলা হয়। হামলাকারীদের পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেসময় পুলিশ গুলি ছোড়ে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।

এর মধ্যেই রাত ৮টার দিকে হতাহত কয়েকজনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতারে নেওয়া হয় বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতান মাহমুদ জানান।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের ১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনহত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, এ পর্যন্ত কতটি মন্দিরে হামলা হয়েছে, তা এখনও ‘নিশ্চিত করা যায়নি’। এ ঘটনায় পুলিশের ‘অনেক’ সদস্য আহত হয়েছেন।