দুর্গা পূজার মধ্যে কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কাছারী মুরা শীলপাড়া পূজামণ্ডপ ও মগনামায় হামলার ঘটনা ঘটে বলে পেকুয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান।
তিনি বলেন, “পেকুয়া সদরের বিশ্বাস পাড়ায় কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে একদল দুর্বৃত্ত মিছিল নিয়ে গিয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীর সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলাকারীরা গুলি ছুড়ে।
ওসি বলেন, পেকুয়া সদরের ঘটনার পর আরও কয়েকটি জায়গায় ‘দুর্বৃত্তরা’ খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে। তারা শিলখালী ইউনিয়নের কাছারী মুরা শীল পাড়া পূজামণ্ডপে এবং মগনামায় কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করে।
হামলার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা চলার মধ্যেই বুধবার সকালে কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ ও প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার হলেও স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে বলে জানান তিনি।
পূজামণ্ডপে হামলা ও হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান।