মামলার আসামি মো. মুন্না ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার ছেলে বলে ফেনী মডেল থানায় ওসি মো. নিজাম উদ্দিন জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।
মামলার বরাতে ওসি জানায়, স্থানীয় ফাজিলপুর ইউনিয়নের এক স্কুল ছাত্রীকে স্কুলে যাতায়াতের পথে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করত মুন্না। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক করে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় সে।
“এরপর মেয়েটিকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে তাকে বের করে ফেনী শহরে নিয়ে যায় মুন্না। পরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ফেনীর মহিপাল এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ওই ছাত্রীকে বাড়ির কাছে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় মুন্না।”
এ সময় মেয়েটি প্রতারণার বিষয়টি কিছুটা আঁচ করতে পেরে শোর চিৎকার শুরু করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে মুন্নাকে আটক করে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, গ্রাম্য সালিশে ওই ছাত্রীর সঙ্গে মুন্নার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় কৌশলে ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায় মুন্না। পরে এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বুধবার থানায় মামলা করেন।
মুন্নাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।